বড়লোকের মেয়ে যখন রিকশাওয়ালার প্রেমে...! ৪র্থ পর্ব

বড়লোকের মেয়ে যখন রিকশাওয়ালার প্রেমে...! ৪র্থ পর্ব........... আমিও কিছু না ভেবে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হলাম কলেজ থেকে।এমন সময় পিছন থেকে কে যেন মাথায় খুব জোরে আঘাত করলো।এরপর আর কিছুই মনে নেই। যখন চোখ খুললাম তখন দেখি আমার পাশে নিলা বসা।আমি অনেক অবাক হলাম।কিছুই মাথায় ঢুকছে না। বাড়িটাও অপরিচিত। আমি এক পর্যায়ে নিলা কে জিজ্ঞেস করলাম।আমি এখানে কি করে..? -রাস্তায় কিছু ছেলেরা তোমাকে মেরে চলে গিয়েছিলো।তুমি অজ্ঞান ছিলে। আর আমি তোমাকে আমার বাসায় নিয়ে আসছি।(নিলা এক নিস্বাশে কথা গুলো বল্লো) -ধন্যবাদ আপনাকে। আমি এখন যায়।(আমি এই কথা বলতে বলতে উঠতে লাগলাম।) নিলা আমাকে থামিয়ে দিয়ে বল্লো, -না এখন যাওয়া যাবে না।তোমাকে এখন এখানেই থাকতে হবে।(নিলা) আমি নিলার কথা শুনে অবাক হলাম।তার উপরে আবার তুমি তুমি করে কথা বলছে। অনেক থেকে অনেক অবাক হলাম।তারপর আমি বললাম, -আমি এখন যায়। বাসায় আম্মু আর ছোট বোন আছে।আমাকে আবার রিকশা নিয়ে বের হতে হবে। আচ্ছা আমি এখানে কতদিন ছিলাম।(আমি) -পাঁচদিন তিন ঘন্টা। (নিলা) -আমি এখন যায়। আম্মু মনেহয় খুব চিন্তা করছে। তারা মনেহয় ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করেনি।(আমি উঠতে উঠতে বললাম) -জি না, আপনাকে এগুলো চিন্তা করতে হবে না। আমি আন্টিকে বলেছি আপনি বেড়াইতে গেছেন। এখন বিশ্রাম নেন।(নিলা,আমাকে বসানোর চেষ্টা করে) -কি করে আমার ঠিকানা পেলেন। (আমি) -ওতো কিছু ভাবতে হবে না। তুমি রেস্ট নাও আসি।(নিলা চলে গেল) এদিকে আমার খুব ভয় হচ্ছে আম্মু কে নিয়ে। এমনিতেয় টানাটানির সংসার। প্রতিদিনের টাকা দিয়ে প্রতিদিন চলে।কি যে করছে আমার মা।এগুলো ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লাম। এইভাবে সেখানে থাকলাম বেশ কয়েকদিন।তারপর বাসায় চলে গেলাম।এই কয়দিনে নিলার উপর অনেক মায়া জমে গেছে। নিজেকে অনেকটা দুর্বল মনে হলো তার প্রতি। বাসায় যাওয়ার পর, -মা কেমন আছো?(আমি) -বাবা তুই কোথায় ছিলি? আর তোর মোবাইল টা বন্ধ কেন বাবা?এতোদিন আমার কথা মনে পড়েনি?(মা এগুলো কথা এক নিস্বাশে বল্লো) -আসলে মা আমি ঘুরতে গেছিলাম। এই কইদিন তোমাদের অনেক কষ্ট হয়ছে তায় না।আচ্ছা মা আমি দেখি কোন কাজ কাম পায় কি না।এখন তো আর বেতন দিবে না। (আমি) -বাবা এখন তো টেকার দরকার নাই।একটা মেয়ে এসে আমাদের সবকিছু কিনে দিয়ে গেছে।কি যেব নাম মেয়েটার, হ্যা মনে পড়েছে নিলা।(মা) আমি কিছু না বলে বাসা থেকে বের হলাম।রাস্তা দিয়ে হাটাছিলাম।পিছন থেকে কে যেন ডাক দিলো, -নিলয় এই নিলয় (মেয়ে) আমি পিছনে তাকিয়ে দেখলাম কাওকে পেলাম না।চলতে শুরু করলাম।আবার ডাক, -এই নিলয় উপরে তাকাও তোমার বাম দিকের উপরে।(তখন বুঝলাম এইটা নিলা) তাকিয়ে দেখি কার বাসায় যেন নিলা এসেছে। আর সেইখান থেকে আমাকে ডাকছে।আমি বললাম, -জি, কি হয়েছে। কিছু বলবেন।(আমি) -উপরে এসো। আমি এখানে আছি।(নিলা) আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। নিলা হঠাত আমার সাথে এতো ভালো ব্যাবহার করছে কেন।মনের মধ্যে এমন অনেক প্রশ্ন এসে জমা হচ্ছিলো।আমি ভাবতে ভাবতে অই বাসায় গেলাম। উপরে উঠতেই নিলা, -আসতে সমস্যা হলো না তো(নিলা) -না, এইটা কার বাসা। (আমি) -আমার বান্ধবীর।আজ এখানে একটা পার্টি আছে তো তাই এসেছি।তুমিও চলো।(নিলা) -না আমি এগুলোতে কখনো যাই নি।আমি বরং বাড়িতে যাই।(আমি) -আরে কি বলো চলো তো(এই বলে নিলা আমার হাত ধরে টান দিয়ে নিয়ে গেল ভিতরে) এদিকে অনেক রাত হয়েছে।রিকশাটা নিয়ে বের হতে হবে। আমি নিলা কে বললাম, আমি এখন যায়। -কেন?(নিলা) -রিকশা নিয়ে বের হতে হবে তাই।(আমি) -কি বললি তুই, আর একবার যদি রিকশার কথা বলিস তাইলে তোকে ক্ষুন করবো। (নিলা কিছুটা রেগে) -কেন রিকশা ছাড়া তো আমার কোন উপায় নেই। (আমি) -তুই আজকের পর আর রিকশা চালাবি না ব্যাস।(নিলা) তারপর নিলা চলে গেল ভিতরে।রাতে নিলার সাথে বাসায় ফিরলাম।তারপর থেকে নিলা আর কথা বলেনি। পরেরদিন কলেজে, -এই নিলয় এইদিকে।(নিলা গেটের সাইড থেকে) আমি গেলাম। তারপর নিলা, -নিলয় এই নিলয় আজ না আমার নোট করা হয়নি। তুমি একটু করে দিবে প্লিজ।(নিলা) -আচ্ছা করে দিচ্ছি।(আমি) তারপর থেকে প্রায় নিলার নোট আমি করে দিতাম।আর তার সাথে খুব ভালো সম্পর্ক হয়ে গেল বন্ধু হয়ে গেলাম দুইজন। এদিকে নিলার দেওয়া বাসার সব চাল ডাল প্রায় শেষ। তাই আবার ভাবলাম রিকশাটা নিয়ে যায়।বেরও হয়ে গেলাম।কিন্তু আমি জানতাম না। সামনে আমার আজরাইল অপেক্ষা করছে। -এই কুত্তা তুই এইখানে কি করিস?(নিলা পিছন থেকে) - না মানে.........(কিছু বলার আগেই নিলা রিকশায় উঠে পড়লো। তারপর তার বাসায় যেতে বলল) আমি ভয়ে ভয়ে রিকশা চালাইতে লাগলাম।কিছু বলার সাহস পেলাম না।এদিকে নিলা রাগে শুধু চোখ দিয়ে পানি ফেলছে। আমি এদিকে খেয়াল না করার ভান করে বললাম, -নিলা তুমি কোথায় থেকে আসছো?(আমি) -কোথায় থেকে আসছি আগে বাসায় চল, তারপর বলবো।কুত্তা, শয়তান, বিড়াল,হনুমান।(নিলা) আমি আর কিছু বললাম না। এদিকে নিলার বাসায় চলে আসছি। -নিলা চলে এসেছি যাও।(আমি) -যাবো মানে, তুইও ভিতরে চল।(নিলা) -আমি আবার কেন যাবো।(আমি) -তোকে যেতে বলেছি যাবি ব্যাস।(নিলা) অবস্তা খারাপ বুঝে গেলাম তার সাথে।বাসায় ঢুকেই নিলা হাত ধরে তার রুমে নিয়ে গেল।তারপর একটা বাক্স বের করব বল্লো, -এইখানে দশ লাখ টাকা আছে। এটা নিয়ে যা।(নিলা, অনেক রেগে) -আমি এগুলো দিয়ে কি করবো।(আমি) -কি করবি মানে, তুই রিকশা নিয়ে বের হয়েছিস কেন।তোরে নিশেধ করিনি। তুই তো টাকার জন্যই বের হইছিস এই নে টাকা।(নিলা) -না নিলা আমি এগুলো নিতে পারব না। আমি এমনিতেই কারো কাছ থেকে কিছু নিই না।তুমি এগুলো রেখে দাও।(আমি) -কি বললি এগুলো তুই নিবি ব্যাস কথা শেষ। আর যদি ওর থেকে বেশি লাগে তাও দিবো।কিন্তু রিকশা চালাইতে পারবি না। (নিলা) আমি কিছু না বলেই চলে আসতে লাগলাম।নিলা পিছন থেকে অনেক ডাক দিলো। আমি না শুনার ভান করে চলে আসলাম। বাসায় এসে একটু শুইলাম।কিছুক্ষণ পর নিলার ফোন, -এই কুত্তা, বিড়াল, হনুমান তুই আমার কথা না শুনে চলে আসলি কেন?(নিলা) -না এমনিতেই(আমি) -কাল কলেজে আগে যাবি, তোর সাথে কথা আছে। (নিলা) -আচ্ছা যাবো। এখন রাখি বাই।(এই বলে রেখে দিলাম।আর ভাবলাম কি বলবে কাল। ভয়ও পেলাম কিছুটা।পরে ভাবলাম, যা বলবে বলুক। এখন ঘুমাই) পরেরদিন সকালে কলেজে, পিছন থেকে নিলার ডাক, -এই কুত্তা নিলয়........(এই বলে নিলা আমার দিকে তেড়ে আসছে) আমি কিছু বলার আগেই নিলা আমার............. চলবে..........!(কিছু স্বার্থপর আছে গল্প পড়ে আমাকে add বা flow না করে আমাকে একা ফেলে চলে যায়। তারা বেঈমান স্বার্থপর যারা আমাকে add বা flow না করবে) পরবর্তী পর্ব পেতে Add বা flow করুন